১০ জেলায় ভয়াবহ বন্যা: ৩৬ লাখ মানুষ পানিবন্দি
- Update Time : ০৬:৫৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৪
- / 59
১০ জেলায় ৩৬ লাখ মানুষ পানিবন্দি, ভয়াবহ বন্যায় আতঙ্ক
ফেনী, নোয়াখালী ও কুমিল্লা অঞ্চলের মানুষ গত তিন দশকে এমন ভয়াবহ বন্যার মুখোমুখি হয়নি। এ অঞ্চলের নজিরবিহীন বন্যার ফলে বিপুল সংখ্যক মানুষ আতঙ্কিত ও বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মৌলভীবাজার, খাগড়াছড়ি, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও লক্ষ্মীপুর জেলার বন্যা পরিস্থিতি মারাত্মকভাবে অবনতি হয়েছে, যা সাড়ে ৩৬ লাখ মানুষের জীবনকে বিপন্ন করেছে।
ফেনী: ইতিহাসের ভয়াবহ বন্যা
গত ৩৬ বছরে ফেনীতে এ ধরনের ভয়াবহ বন্যার সম্মুখীন হতে হয়নি। বর্তমান বন্যায় ফেনীর তিনটি উপজেলার ৯০ শতাংশ এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে, যার ফলে এলাকার জীবনযাত্রা সম্পূর্ণ লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে।
বন্যার বিস্তার ও যোগাযোগের বিঘ্ন
বন্যার কারণে সড়ক ও রেলপথ তলিয়ে যাওয়ায় চট্টগ্রামের সাথে দেশের অন্যান্য অংশের রেল ও সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। কক্সবাজারের সাথে সারাদেশের রেল যোগাযোগও বন্ধ হয়ে গেছে।
সহায়তা ও উদ্ধার কার্যক্রম
বন্যা পরিস্থিতির উন্নয়নের জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক, সেনাবাহিনী, মেডিকেল টিম ও অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে সমন্বয় করে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন কাজ করছে। দুর্গত এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক ও বিদ্যুতের সংযোগ বন্ধ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ডাক, টেলিযোগাযোগ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। বিটিআরসি, বিটিসিএল ও টেলিটক ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে এবং বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানির সহায়তায় ১০টি ভি-স্যাট প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
নদী তলিয়ে যাওয়া এবং উদ্বিগ্ন জনগণ
গোমতী, কাঁকড়ি, ডাকাতিয়া, ঘুংগুর নদীর আশপাশসহ নিচু এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কে বাড়িঘর ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। গোমতী নদীর পানি ১১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, যা শত শত বাড়িঘরকে নিমজ্জিত করে দিয়েছে।
বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত উদ্ধার কার্যক্রম ও সহায়তার কাজ অব্যাহত থাকবে, এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বাত্মক চেষ্টা করছে।