Dhaka ০৮:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

আবু সাঈদের স্মরণে রাষ্ট্রীয় সম্মান: পরিবার ও এলাকাবাসীর আবেগময় মুহূর্ত

  • Update Time : ০৩:৩৬:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৪
  • / 61

bu-saeed-rangpur-state-honor

আবু সাঈদের স্মরণে রাষ্ট্রীয় সম্মান

রংপুরের পীরগঞ্জের জাফরপাড়ার আবু সাঈদের পরিবার ও এলাকাবাসী এক নতুন আবেগের মুখোমুখি হলেন। সম্প্রতি, নিহত আবু সাঈদের প্রতি রাষ্ট্রের সম্মান প্রদর্শন দেখে তারা আবারও কাঁদলেন। শনিবার, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সাঈদের বাড়িতে গিয়ে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

সরকারপ্রধান ড. ইউনূস মন্তব্য করেন, “আবু সাঈদ এখন এক পরিবারের সন্তান নয়, বাংলাদেশের প্রতিটি পরিবারের সন্তান। এই নতুন বাংলাদেশ গড়ার দায়িত্ব আমাদের। তার কথা স্মরণে রেখে আমরা কাজ করব।”

২০১৯ সালের ১৬ জুলাই সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ছাত্র আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ।

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হেলিকপ্টারে রংপুরের পীরগঞ্জে পৌঁছান ড. ইউনূস। তার সঙ্গে ছিলেন নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বেলা ১১টার দিকে তারা সড়কপথে আবু সাঈদের বাড়িতে পৌঁছে, সেখানে তার কবর জিয়ারত করেন।

পরবর্তীতে, ড. ইউনূস আবু সাঈদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময়, আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন, মা মনোয়ারা বেগম, ভাই-বোনসহ পরিবারের সদস্যরা হত্যার বর্ণনা তুলে ধরেন। আবু সাঈদের স্বজনদের কান্নায় অশ্রুসজল হয়ে ওঠেন ড. ইউনূস এবং দুই উপদেষ্টা।

মকবুল হোসেন সরকারপ্রধানের কাছে আবু সাঈদের হত্যার বিচার দাবি করেন। তিনি বলেন, “আবু সাঈদ শুধু এক ব্যক্তি নন, এই আন্দোলনে যারা মারা গেছেন, তাদের হত্যার বিচারও করা উচিত।”

ট্যাগ :

আপনার সোশ্যাল মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

আবু সাঈদের স্মরণে রাষ্ট্রীয় সম্মান: পরিবার ও এলাকাবাসীর আবেগময় মুহূর্ত

Update Time : ০৩:৩৬:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৪
আবু সাঈদের স্মরণে রাষ্ট্রীয় সম্মান

রংপুরের পীরগঞ্জের জাফরপাড়ার আবু সাঈদের পরিবার ও এলাকাবাসী এক নতুন আবেগের মুখোমুখি হলেন। সম্প্রতি, নিহত আবু সাঈদের প্রতি রাষ্ট্রের সম্মান প্রদর্শন দেখে তারা আবারও কাঁদলেন। শনিবার, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সাঈদের বাড়িতে গিয়ে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

সরকারপ্রধান ড. ইউনূস মন্তব্য করেন, “আবু সাঈদ এখন এক পরিবারের সন্তান নয়, বাংলাদেশের প্রতিটি পরিবারের সন্তান। এই নতুন বাংলাদেশ গড়ার দায়িত্ব আমাদের। তার কথা স্মরণে রেখে আমরা কাজ করব।”

২০১৯ সালের ১৬ জুলাই সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ছাত্র আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ।

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হেলিকপ্টারে রংপুরের পীরগঞ্জে পৌঁছান ড. ইউনূস। তার সঙ্গে ছিলেন নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বেলা ১১টার দিকে তারা সড়কপথে আবু সাঈদের বাড়িতে পৌঁছে, সেখানে তার কবর জিয়ারত করেন।

পরবর্তীতে, ড. ইউনূস আবু সাঈদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময়, আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন, মা মনোয়ারা বেগম, ভাই-বোনসহ পরিবারের সদস্যরা হত্যার বর্ণনা তুলে ধরেন। আবু সাঈদের স্বজনদের কান্নায় অশ্রুসজল হয়ে ওঠেন ড. ইউনূস এবং দুই উপদেষ্টা।

মকবুল হোসেন সরকারপ্রধানের কাছে আবু সাঈদের হত্যার বিচার দাবি করেন। তিনি বলেন, “আবু সাঈদ শুধু এক ব্যক্তি নন, এই আন্দোলনে যারা মারা গেছেন, তাদের হত্যার বিচারও করা উচিত।”