Dhaka ১১:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ভ্যানে লাশ তোলার ভিডিওতে পুলিশের পরিচয় প্রকাশ

  • Update Time : ০৩:১৭:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৪
  • / 95

ভ্যানে লাশ তোলার ভিডিওতে পুলিশের পরিচয় প্রকাশ

ভ্যানে লাশ তোলার ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তার পরিচয় প্রকাশ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত লাশগুলো ভ্যানে তোলার একটি ভিডিও সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটি সাভারের আশুলিয়া থানার সামনে ধারণ করা হয়।

ভিডিওতে লাশের স্তূপ করতে দেখা গেছে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আরাফাত হোসেনকে। তার গ্রামের বাড়ি বরিশালে এবং তিনি দুই বছর আগে ঢাকা জেলার গোয়েন্দা বিভাগে যোগ দেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ থেকে পড়াশোনা করেছেন আরাফাত। তার বাবা মো. আরিফ হোসেন বদরটুনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এবং হরিনাথপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি।

ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর আরাফাত আত্মগোপনে চলে গেছেন এবং তার মোবাইলফোন নম্বরও বন্ধ রয়েছে। ভিডিওতে থাকা অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।

ভিডিওর মধ্যে দেখা যায়, পুলিশ সদস্যরা লাশগুলোর হাত ও পা ধরে ভ্যানে তুলে দিচ্ছেন এবং শেষে একটি ব্যানার দিয়ে ঢেকে দিচ্ছেন। ভিডিওটি আশুলিয়া থানার সামনের ভবনের দ্বিতীয়তলা থেকে ধারণ করা বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ভাইরাল ভিডিওর পর ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব বলেন, “আরাফাত ভেঙে পড়েছে এবং এখনো অফিসে আসেনি। আমাদের পক্ষ থেকে ছাত্র-জনতার দিকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর নির্দেশ ছিল না।”

প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনের সময় ৫ আগস্ট ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বাইপাইল এলাকায় জমায়েত হতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। তাদের আশুলিয়া থানার দিকে অগ্রসর হওয়ার পর পুলিশ গুলি ছোড়ে। এই ঘটনায় ৫ আগস্ট আশুলিয়ায় ১৫ জনের মৃত্যু হয় (ভ্যানে তোলা লাশের হিসাব বাদে)। ১৮ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সাভার ও আশুলিয়ায় পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন ৭৫ জন এবং আহত হয়েছেন প্রায় ৪৫০ জন।

আপনার সোশ্যাল মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

ভ্যানে লাশ তোলার ভিডিওতে পুলিশের পরিচয় প্রকাশ

Update Time : ০৩:১৭:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৪

ভ্যানে লাশ তোলার ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তার পরিচয় প্রকাশ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত লাশগুলো ভ্যানে তোলার একটি ভিডিও সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটি সাভারের আশুলিয়া থানার সামনে ধারণ করা হয়।

ভিডিওতে লাশের স্তূপ করতে দেখা গেছে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আরাফাত হোসেনকে। তার গ্রামের বাড়ি বরিশালে এবং তিনি দুই বছর আগে ঢাকা জেলার গোয়েন্দা বিভাগে যোগ দেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ থেকে পড়াশোনা করেছেন আরাফাত। তার বাবা মো. আরিফ হোসেন বদরটুনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এবং হরিনাথপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি।

ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর আরাফাত আত্মগোপনে চলে গেছেন এবং তার মোবাইলফোন নম্বরও বন্ধ রয়েছে। ভিডিওতে থাকা অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।

ভিডিওর মধ্যে দেখা যায়, পুলিশ সদস্যরা লাশগুলোর হাত ও পা ধরে ভ্যানে তুলে দিচ্ছেন এবং শেষে একটি ব্যানার দিয়ে ঢেকে দিচ্ছেন। ভিডিওটি আশুলিয়া থানার সামনের ভবনের দ্বিতীয়তলা থেকে ধারণ করা বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ভাইরাল ভিডিওর পর ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব বলেন, “আরাফাত ভেঙে পড়েছে এবং এখনো অফিসে আসেনি। আমাদের পক্ষ থেকে ছাত্র-জনতার দিকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর নির্দেশ ছিল না।”

প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনের সময় ৫ আগস্ট ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বাইপাইল এলাকায় জমায়েত হতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। তাদের আশুলিয়া থানার দিকে অগ্রসর হওয়ার পর পুলিশ গুলি ছোড়ে। এই ঘটনায় ৫ আগস্ট আশুলিয়ায় ১৫ জনের মৃত্যু হয় (ভ্যানে তোলা লাশের হিসাব বাদে)। ১৮ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সাভার ও আশুলিয়ায় পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন ৭৫ জন এবং আহত হয়েছেন প্রায় ৪৫০ জন।