বাংলাদেশে অবৈধ ডায়মন্ড বাণিজ্যের রহস্য
- Update Time : ০৩:১৩:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / 103
দেশের বাজারে বৈধভাবে ডায়মন্ড আমদানির অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, সেখানে এক ধরনের অস্বাভাবিকতা রয়েছে। দেশে ডায়মন্ডের খনি নেই এবং সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বেশ কয়েক বছর ধরে ডায়মন্ড আমদানি বন্ধ রয়েছে। অথচ, রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে দিলীপ কুমার আগরওয়ালার ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের ২৮টি শোরুমে প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ কোটি টাকার ডায়মন্ড বিক্রি হচ্ছে।
দিলীপ কুমার আগরওয়ালা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে আনা ভেজাল ডায়মন্ডের ব্যবসা করছেন, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। তার ব্যবসার মাধ্যমে দেশের বাজারে বিপুল পরিমাণে অবৈধ ও ভেজাল ডায়মন্ড প্রবাহিত হচ্ছে। দেশের ডায়মন্ডের বাজারের ব্যাপারে সরকারি পরিসংখ্যান ও ব্যবসায়ীদের তথ্যের মধ্যে বিস্তর পার্থক্য দেখা যাচ্ছে। এনবিআরের তথ্যমতে, গত ২০ বছরে মাত্র ১০০ কোটি টাকার ডায়মন্ড আমদানি হয়েছে, তবে বাজারে রয়েছে হাজার হাজার কোটি টাকার ডায়মন্ডের গহনা।
ভারত থেকে অবৈধ পথে ডায়মন্ড প্রবাহিত হচ্ছে, বিশেষ করে গুজরাটের সুরাট থেকে, যেখানে বিশ্বব্যাপী ৬৫ শতাংশ ডায়মন্ড কাটিং ও পলিশিং করা হয়। বিজিবি কিছু চালান জব্দ করেছে, কিন্তু বাণিজ্যিকভাবে এসব অবৈধ আমদানির পরিমাণ আরও অনেক বেশি বলে মনে হচ্ছে।
এই অবৈধ আমদানির কারণে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে এবং দেশের বাজারে ডায়মন্ডের দাম অত্যন্ত কম, যা কাচের টুকরা বলে সন্দেহ তৈরি করছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এসব ভেজাল ডায়মন্ডের কারণে খুচরা বিক্রিতে স্বর্ণের মূল্যেরও প্রভাব পড়ছে।
এই পরিস্থিতি সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। নীতিসহায়তা ও মনিটরিং বাড়ানোর পাশাপাশি অবৈধ পথে ডায়মন্ড আমদানি বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তাদের উচিত এসব অবৈধ আমদানির কাগজপত্র পর্যালোচনা করা এবং বাজারে সঠিক পরিসংখ্যান নিশ্চিত করা। তাহলেই এই মিথ্যা ও ভেজালের পর্দা তুলে ধরা সম্ভব হবে।