Dhaka ১০:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

দুর্গাপূজায় ইলিশ পাঠানোর আবেদন ভারতের

  • Update Time : ০২:১৩:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 75

দুর্গাপূজায় ইলিশ পাঠানোর আবেদন: ভারতের উদ্বেগ ও বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট

আগামী দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারত বাংলাদেশ সরকারকে চিঠি পাঠিয়ে ইলিশ রপ্তানির আবেদন করেছে। ভারতের ফিস ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন এই আবেদন জানিয়েছে, কারণ বাঙালিদের কাছে দুর্গাপূজা মানেই ইলিশ মাছের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর এই ইলিশ রপ্তানির বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

ভারতের ফিস ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ নিয়মিতভাবে ইলিশ সরবরাহ করে আসছে, যা পশ্চিমবঙ্গের বাজারে অত্যন্ত জনপ্রিয়। তবে, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে এবার ইলিশ সরবরাহ নিয়ে এক ধরনের অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে, এবারের দুর্গাপূজায় ইলিশ সরবরাহ করা হবে কিনা তা নিশ্চিত নয়। ফলে ভারতের ব্যবসায়ীরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি বাংলাদেশ সরকার ইলিশ সরবরাহ না করে, তবে ভারতে ইলিশের অভাব মোকাবিলায় মিয়ানমার থেকে আমদানি করা হতে পারে। এদিকে, পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি ত্রিপুরা এবং আসামের বাজারেও বাংলাদেশের ইলিশের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই, যদি বাংলাদেশ এবার ইলিশ সরবরাহ করে, তাহলে তা কতটা এবং কবে আসবে, সে সম্পর্কে কোনও নিশ্চিত তথ্য এখনো মেলেনি। এছাড়া, দাম নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে—মধ্যবিত্ত পরিবারের নাগালের মধ্যে দাম থাকবে কিনা, তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের কাছে ইতিমধ্যেই আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি পরিবর্তিত হওয়ার কারণে এই আবেদনের ফলাফল নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।

ইলিশের এই সরবরাহ প্রশ্নবিদ্ধ হলে, ভারতের বাজারে ইলিশের দাম বাড়তে পারে এবং পূজার আগে সময়মতো ইলিশ পাওয়া যাবে কিনা তা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়বে। ভারতীয় ব্যবসায়ীরা আশা করছেন যে, বাংলাদেশ সরকার তাদের আবেদন গ্রহণ করবে এবং দুর্গাপূজার জন্য প্রয়োজনীয় ইলিশ সরবরাহ করবে।

এখন অপেক্ষা করে দেখা যাক, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এই গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা পূরণ করা হয় কিনা এবং পশ্চিমবঙ্গের পূজার বাজারে ইলিশের সঠিক সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হয় কিনা।

আপনার সোশ্যাল মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

দুর্গাপূজায় ইলিশ পাঠানোর আবেদন ভারতের

Update Time : ০২:১৩:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দুর্গাপূজায় ইলিশ পাঠানোর আবেদন: ভারতের উদ্বেগ ও বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট

আগামী দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারত বাংলাদেশ সরকারকে চিঠি পাঠিয়ে ইলিশ রপ্তানির আবেদন করেছে। ভারতের ফিস ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন এই আবেদন জানিয়েছে, কারণ বাঙালিদের কাছে দুর্গাপূজা মানেই ইলিশ মাছের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর এই ইলিশ রপ্তানির বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

ভারতের ফিস ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ নিয়মিতভাবে ইলিশ সরবরাহ করে আসছে, যা পশ্চিমবঙ্গের বাজারে অত্যন্ত জনপ্রিয়। তবে, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে এবার ইলিশ সরবরাহ নিয়ে এক ধরনের অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে, এবারের দুর্গাপূজায় ইলিশ সরবরাহ করা হবে কিনা তা নিশ্চিত নয়। ফলে ভারতের ব্যবসায়ীরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি বাংলাদেশ সরকার ইলিশ সরবরাহ না করে, তবে ভারতে ইলিশের অভাব মোকাবিলায় মিয়ানমার থেকে আমদানি করা হতে পারে। এদিকে, পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি ত্রিপুরা এবং আসামের বাজারেও বাংলাদেশের ইলিশের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই, যদি বাংলাদেশ এবার ইলিশ সরবরাহ করে, তাহলে তা কতটা এবং কবে আসবে, সে সম্পর্কে কোনও নিশ্চিত তথ্য এখনো মেলেনি। এছাড়া, দাম নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে—মধ্যবিত্ত পরিবারের নাগালের মধ্যে দাম থাকবে কিনা, তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের কাছে ইতিমধ্যেই আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি পরিবর্তিত হওয়ার কারণে এই আবেদনের ফলাফল নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।

ইলিশের এই সরবরাহ প্রশ্নবিদ্ধ হলে, ভারতের বাজারে ইলিশের দাম বাড়তে পারে এবং পূজার আগে সময়মতো ইলিশ পাওয়া যাবে কিনা তা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়বে। ভারতীয় ব্যবসায়ীরা আশা করছেন যে, বাংলাদেশ সরকার তাদের আবেদন গ্রহণ করবে এবং দুর্গাপূজার জন্য প্রয়োজনীয় ইলিশ সরবরাহ করবে।

এখন অপেক্ষা করে দেখা যাক, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এই গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা পূরণ করা হয় কিনা এবং পশ্চিমবঙ্গের পূজার বাজারে ইলিশের সঠিক সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হয় কিনা।