চট্টগ্রামে আদালতে সংঘর্ষ: শিক্ষানবিশ আইনজীবী নিহত, আহত ২৬
- Update Time : ০৯:৪০:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
- / 20
চট্টগ্রাম আদালতে চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুরের পর সংঘর্ষের ঘটনায় শিক্ষানবিশ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় আহত ৬-৭ জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। এর মধ্যে সাইফুল ইসলামকে মৃত অবস্থায় আনা হয়। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সভাপতি নাজিম উদ্দিন চৌধুরী সাইফুল ইসলামের পরিচয় নিশ্চিত করে বলেন, “তিনি একজন শিক্ষানবিশ আইনজীবী ছিলেন।”
সংঘর্ষের সূত্রপাত
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার আসামি ও বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীকে কড়া নিরাপত্তায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ষষ্ঠ আদালতে আনা হয়। বিচারক কাজী শরিফুল ইসলাম তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
চিন্ময় কৃষ্ণকে প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। বিক্ষোভকারীরা আদালত প্রাঙ্গণে ভাঙচুর চালায় এবং পরিস্থিতি অস্থির হয়ে ওঠে।
আহতদের পরিস্থিতি
সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ২৬ জন। এর মধ্যে চমেক হাসপাতালে ছয়জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে আরও ১৯ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল কাদের চৌধুরী বলেন, “বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে তারা বেশ কয়েকটি স্থাপনায় ভাঙচুর চালায়। হতাহতদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।”
থমথমে পরিস্থিতি
সংঘর্ষের পর পুরো এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আদালত চত্বরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
পেছনের ঘটনা
চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় আটক করা হয়। তার জামিন আবেদন আদালতে খারিজ হওয়ায় সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ থেকেই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ করছে প্রশাসন।