বাংলাদেশ ব্যাংক দুর্বল ব্যাংকগুলোর জন্য ২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ছাপাল
- Update Time : ০৮:২৪:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪
- / 24
দুর্বল ব্যাংকগুলোর সহায়তায় সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা ছাপালো কেন্দ্রীয় ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবার বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশটির ৬টি দুর্বল ব্যাংককে তারল্য সহায়তা প্রদান করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা ছাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর রাজধানীর মতিঝিলস্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এই তথ্য জানিয়েছেন।
দুর্বল ব্যাংকগুলোর সহায়তায় বিশেষ পদক্ষেপ
ড. আহসান বলেন, “বর্তমানে কিছু দুর্বল ব্যাংক তারল্য সংকটে ভুগছে, ফলে তারা ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এসব ব্যাংকগুলোর সহায়তায় আমাদের সবল ব্যাংকগুলো ঋণ দিচ্ছে। এছাড়া, কেন্দ্রীয় ব্যাংকও ২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ছাপিয়ে এসব ব্যাংকগুলোর জন্য সহায়তা প্রদান করছে।”
তবে, গভর্নর আরও জানান যে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোনোভাবে বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চায় না। তাই টাকার পরিমাণ বাড়ানো হলেও বাজারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে তারা এই পরিমাণ টাকা বন্ড ছেড়ে তুলে নেবেন। তিনি বলেন, “আমাদের টাইট পলিসি থাকবে, এক হাতে দেব, আর অন্য হাতে তুলে নেব।”
গ্রাহকদের টাকা সুরক্ষিত থাকবে
গভর্নর এই বিষয়েও আশ্বস্ত করেন যে, দেশের ব্যাংকগুলোর গ্রাহকদের আমানত পুরোপুরি সুরক্ষিত রয়েছে। তিনি বলেন, “যে কোন ব্যাংকে যদি তারল্য সংকট দেখা দেয়, তবে বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের পাশে দাঁড়াবে। গ্রাহকরা কখনও তাদের টাকা ফেরত পেতে সমস্যা হবে না।”
বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিবর্তনের ইঙ্গিত
ড. আহসান মনসুর আরও জানান, আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে ব্যাংকিং খাতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসবে, যা গ্রাহকদের সুবিধা বৃদ্ধি করবে। তবে, এসব পরিবর্তন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।
শেষ কথা
বাংলাদেশ ব্যাংক এটি নিশ্চিত করেছে যে, দেশের ব্যাংকিং খাতের স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য তারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে। তবে, ভবিষ্যতে এই ধরনের অর্থনৈতিক সহায়তা ব্যবস্থা সাধারণ জনগণের জন্য কী ধরনের প্রভাব ফেলবে, তা লক্ষ্য রাখা জরুরি। টাকার পরিমাণ বাড়ানোর ফলে কিছু পরিসরে মূল্যস্ফীতি বা মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যেতে পারে, যা দেশের অর্থনীতির উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
প্রশ্ন: এটি কি সঠিক সিদ্ধান্ত?
এখন প্রশ্ন ওঠে—বাংলাদেশ ব্যাংকের এই সিদ্ধান্ত কি সঠিক এবং কার্যকর হবে? দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই পদক্ষেপ সত্যিই দেশের ব্যাংকিং খাতের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে কি না, সে বিষয়ে আরও বিশ্লেষণ প্রয়োজন।