আসামের হোটেলগুলোতে বাংলাদেশিদের থাকার নিষেধাজ্ঞা
- Update Time : ০৮:৩৩:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪
- / 16
বাংলাদেশিদের থাকার অনুমতি দেবে না আসামের কিছু হোটেল: হিন্দুদের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ
ভারতের আসামের বরাক উপত্যকার হোটেল মালিকরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, বাংলাদেশিদের হোটেল ভাড়া দেওয়া বন্ধ করবেন। বাংলাদেশের হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি নিয়ে কথিত উদ্বেগ প্রকাশ করে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
বরাক উপত্যকার ঘোষণা
আসামের বরাক উপত্যকা হোটেল ও রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) স্থানীয়ভাবে এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়। সমিতির সভাপতি বাবুল রায় জানান, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত বরাক উপত্যকার তিনটি জেলার কোনো হোটেলেই বাংলাদেশি নাগরিকদের আশ্রয় দেওয়া হবে না।
তিনি আরও বলেন,
“বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের বর্তমান অবস্থা খুবই উদ্বেগজনক। এটা আমরা মেনে নিতে পারি না। বাংলাদেশের জনগণকে অবশ্যই দেশে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে কাজ করতে হবে। যদি পরিস্থিতির উন্নতি হয়, তবে আমরা সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করব।”
ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গেও একই পদক্ষেপ
বরাক উপত্যকার সিদ্ধান্তের আগেও ত্রিপুরা এবং পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি জেলার হোটেল মালিকেরা একই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর ফলে ওই অঞ্চলে বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য হোটেল ভাড়া পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে।
কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের ভূমিকা
সম্প্রতি আসামে বজরং দল নামে একটি কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন শিলচরে গ্লোবাল এক্সপোতে বাংলাদেশি পণ্যের স্টল বন্ধ করার দাবি তোলে। তাদের চাপের মুখে আয়োজকরা স্টল বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন।
বাংলাদেশি হাইকমিশনে হামলা
এর আগেও ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা বাংলাদেশের পতাকা নামিয়ে তাতে আগুন দেয়। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনাকে দুঃখজনক বলে উল্লেখ করলেও উত্তেজনা এখনো পুরোপুরি থামেনি।
বিশ্লেষণ
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহাসিক ও কৌশলগত সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও এমন ঘটনা দুই দেশের সম্পর্ককে প্রভাবিত করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এমন সিদ্ধান্ত বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এবং সাধারণ মানুষের যাতায়াতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে।