নতুন মামলায় রিমান্ডে ইমরান খান ও বুশরা বিবি: তোশাখানা মামলায় ৮ দিনের রিমান্ড
- Update Time : ০১:৪০:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০২৪
- / 63
নতুন মামলায় রিমান্ডে ইমরান খান ও বুশরা বিবি
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে তোশাখানা মামলায় ৮ দিনের রিমান্ডে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। রবিবার (১৪ জুলাই) জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। ইমরান খান ও বুশরা বিবিকে আগামী ২২ জুলাই আদালতে হাজির করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গ্রেফতারের পটভূমি
অবৈধ বিবাহ মামলায় জামিন পাওয়ার পরপরই পাকিস্তানের জাতীয় অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (ন্যাব) তোশাখানার একটি নতুন মামলায় তাদের গ্রেফতার করে। তোশাখানা উপহার পাওয়ার ক্ষেত্রে ক্ষমতার অপব্যবহার করার অভিযোগে আদিয়ালা কারাগারের উপপরিচালক মহসিন হারুনের নেতৃত্বে একটি দল তাদের গ্রেফতার দেখায়।
রিমান্ডের মঞ্জুরি
ইমরান খানের আইনজীবী জহির আব্বাস চৌধুরী জানান, ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (এনএবি) ১৪ দিনের রিমান্ড চেয়েছিল, তবে আদালত ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। আগামী ২২ জুলাই তাদেরকে আদালতে হাজির করতে বলা হয়েছে।
ইমরান খানের প্রতিক্রিয়া
বিচারকের সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন ইমরান খান। তিনি উল্লেখ করেন যে, তোশাখানা মামলার সঙ্গে তার স্ত্রী বুশরা বিবির কোনো সম্পর্ক নেই। একইসঙ্গে বিচারককে জবাবদিহি করতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন ইমরান।
ইমরান খানের আইনি জটিলতা
গত বছরের আগস্ট থেকে বিভিন্ন মামলায় কারাগারে আছেন ইমরান খান। গেল জুনে সাইফার মামলায় খালাস পান তিনি। তবে বেআইনিভাবে রাষ্ট্রীয় উপহার বিক্রি সংক্রান্ত দুটি মামলায় তাকে সাজা দেওয়া হয়। একটিতে ১৪ বছর এবং অন্যটিতে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় পিটিআই নেতাকে। যদিও হাইকোর্ট উভয় মামলার সাজা স্থগিত করেছে।
তোশাখানা মামলার বিবরণ
তোশাখানা হলো পাকিস্তানের একটি সরকারি বিভাগ যেখানে সরকারী কর্মকর্তারা বিদেশ থেকে প্রাপ্ত উপহার জমা করেন। ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে এই উপহারগুলো ব্যক্তিগতভাবে বিক্রি করেছেন এবং সেই অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। ন্যাবের তদন্ত অনুযায়ী, ইমরান খান ও তার স্ত্রী বেশ কয়েকটি মূল্যবান উপহার বিক্রি করেছেন, যার মধ্যে মহামূল্যবান ঘড়ি, গয়না ও গাড়ি রয়েছে।
ইমরান খানের বক্তব্য
ইমরান খান এই মামলাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলি ভিত্তিহীন এবং কেবলমাত্র রাজনৈতিকভাবে তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেছেন, তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন।
সমাপ্তি
ইমরান খান ও বুশরা বিবির এই মামলা পাকিস্তানের রাজনীতিতে নতুন করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। আদালতের রিমান্ড মঞ্জুরের পরে মামলাটি কিভাবে এগোয় তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছে পুরো দেশ। ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলার প্রেক্ষিতে এই নতুন মামলাটি তার রাজনৈতিক জীবনে আরও একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে এই মামলা আরও বড় রূপ নিতে পারে