দুর্বল ব্যাংকগুলোকে টাকা ছাপিয়ে সহায়তা আর নয়
- Update Time : ০৩:১৩:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪
- / 77
বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের স্পষ্ট বার্তা: দুর্বল ব্যাংকগুলোর জন্য টাকা ছাপানো বন্ধ
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর আজ সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দিয়েছেন: দুর্বল ও সমস্যাযুক্ত ব্যাংকগুলোকে টাকা ছাপিয়ে আর সহায়তা দেওয়া হবে না। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার নীতি এবং ব্যাংকিং খাতের স্থিতিশীলতার প্রতি প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।
শরিয়াভিত্তিক ব্যাংক এবং আইনি সহায়তা
গভর্নর আহসান এইচ মনসুর স্পষ্ট করেছেন যে, শরিয়াভিত্তিক ব্যাংকগুলোর জন্য বেআইনিভাবে তারল্য সহায়তা প্রদান করা হবে না। তিনি বলেন, “আমানতকারীর পছন্দ অনুযায়ী যে কোনো ব্যাংকে আমানত রাখা তাদের সিদ্ধান্ত। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখানে কোনো হস্তক্ষেপ করবে না।”
ব্যাংকিং কমিশনের ভূমিকা
আহসান এইচ মনসুর আরও জানান, ব্যাংকিং কমিশন প্রতিষ্ঠিত হলে ইসলামিক ব্যাংকগুলোকে আলাদাভাবে দুর্বল ব্যাংক হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। তবে, তিনি বলেন, “টাকা দিয়ে সহায়তা করা কিংবা বন্ধ করে দেওয়া, কোনোটিই সমস্যা সমাধান নয়। আমানতকারীদের স্বার্থকে গুরুত্ব দিতে হবে।”
অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
তিনি উল্লেখ করেন যে, অনিয়মে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তবে কোনো প্রতিষ্ঠান বিশেষভাবে লক্ষ্যে থাকবে না। তিনি বলেন, “প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কর্মসংস্থান জড়িত রয়েছে। দুর্বল ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দেওয়া বিবেচনাধীন রয়েছে, তবে এটি একটি জটিল বিষয়।”
ব্যাংকিং সেক্টরের চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা
গভর্নর জানান, যেসব ব্যাংক আস্থাহীনতায় ভুগছে, তার জন্য ওই ব্যাংকের পর্ষদই দায়ী। যদি কোনো ব্যাংকের গ্রাহকরা তাদের আমানত তুলে নেয়, সেটার জন্য সেই ব্যাংকই দায়ী। সরকারের হস্তক্ষেপ এ ক্ষেত্রে কোনওভাবেই কার্যকর হবে না বলে মন্তব্য করেন গভর্নর।
মুদ্রাস্ফীতি ও ডলারের দর
বর্তমান ডলার দরকে স্থিতিশীল উল্লেখ করে গভর্নর বলেন, আশা করা যায় যে এটি এ অবস্থায় থাকবে। এতে মূল্যস্ফীতি কমবে এবং মুদ্রা সংকট মোকাবিলায় রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করেন।
নতুন নোট বাতিলের প্রশ্ন
এক হাজার টাকার নোট বাতিলের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে গভর্নর জানান, এরকম কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি এবং নোট বাতিলের কোনো চিন্তাও নেই।
এই ঘোষণার মাধ্যমে বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের অবসান হতে পারে এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিগত দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যেতে পারে।