Dhaka ১২:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

৫ দিন পর ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা পুনরায় চালু: ফ্রিল্যান্সার ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে স্বস্তি

  • Update Time : ০৩:৫৮:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই ২০২৪
  • / 43

৫ দিন পর পুনরায় চালু হলো ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা

৫ দিন পর পুনরায় চালু হলো ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে সহিংসতার মধ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়া ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা অবশেষে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার পর থেকে আবার চালু হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে ইন্টারনেটের গতি ধীরগতির হলেও ব্রডব্যান্ড সংযোগ ফিরে আসায় ফ্রিল্যান্সার, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশাজীবী ও সাধারণ ব্যবহারকারীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক আজ সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা পুনরায় চালু করার আশ্বাস দেন।

তিনি জানান, ব্যাংকিং, ফ্রিল্যান্সিংসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে রাতের মধ্যেই পরীক্ষামূলকভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু করা হবে।

দীর্ঘ ৫ দিন পর ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ ফিরে আসায় ব্যাংকিং খাত থেকে শুরু করে ফ্রিল্যান্সিং, ই-কমার্সসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সেবাসমূহ অচিরেই স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

দেশজুড়ে চলমান টানা কারফিউতে ক্ষতিগ্রস্ত তৈরি পোশাক শিল্পসহ রপ্তানিমুখী খাতগুলোতেও ইন্টারনেট ফিরে আসার ইতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।

ইন্টারনেট না থাকায় রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের বিদেশি গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ রক্ষায় সমস্যায় পড়েছিল। ব্রডব্যান্ড সংযোগ ফিরে আসায় এই প্রতিষ্ঠানগুলো অনেকটাই স্বস্তিতে আছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার পর থেকে দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে যায়। সেদিন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মহাখালীর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবনে দুর্বৃত্তদের অগ্নিসংযোগে ৩টি ডেটাসেন্টার পুড়ে যায়, যা দেশের ৬০ শতাংশ ব্যান্ডউইথের ওপর নির্ভরশীল ছিল। এই ক্ষতির ফলে সারা দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

তারও আগে বুধবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যা থেকেই মোবাইল ফোনের ইন্টারনেট সংযোগে সমস্যা দেখা দেয়। প্রথমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে প্রবেশ করা যাচ্ছিল না।

পরবর্তীতে রাত থেকে মোবাইল ফোন-ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। ইন্টারনেট না থাকায় বিপাকে পড়েছিলেন দেশের ১৪ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী।

বিশেষ করে ফ্রিল্যান্সারদের মতো পেশাজীবীরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। সফটওয়্যার খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন বেসিস জানায়, ইন্টারনেট সংযোগের অভাবে শুধু সফটওয়্যার খাত থেকেই দৈনিক লোকসান ৭০ থেকে ৮০ কোটি টাকা।

এছাড়া ফ্রিল্যান্স খাতে মোট ক্ষতির পরিমাণ ৫০০ কোটি ডলার। পাশাপাশি রয়েছে ক্লায়েন্ট হারানোর শঙ্কাও।

ইন্টারনেট সংযোগ ফিরে আসায় এই ক্ষতির পরিমাণ কিছুটা কমবে এবং পুনরায় স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ট্যাগ :

আপনার সোশ্যাল মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

৫ দিন পর ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা পুনরায় চালু: ফ্রিল্যান্সার ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে স্বস্তি

Update Time : ০৩:৫৮:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই ২০২৪

৫ দিন পর পুনরায় চালু হলো ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে সহিংসতার মধ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়া ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা অবশেষে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার পর থেকে আবার চালু হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে ইন্টারনেটের গতি ধীরগতির হলেও ব্রডব্যান্ড সংযোগ ফিরে আসায় ফ্রিল্যান্সার, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশাজীবী ও সাধারণ ব্যবহারকারীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক আজ সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা পুনরায় চালু করার আশ্বাস দেন।

তিনি জানান, ব্যাংকিং, ফ্রিল্যান্সিংসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে রাতের মধ্যেই পরীক্ষামূলকভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু করা হবে।

দীর্ঘ ৫ দিন পর ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ ফিরে আসায় ব্যাংকিং খাত থেকে শুরু করে ফ্রিল্যান্সিং, ই-কমার্সসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সেবাসমূহ অচিরেই স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

দেশজুড়ে চলমান টানা কারফিউতে ক্ষতিগ্রস্ত তৈরি পোশাক শিল্পসহ রপ্তানিমুখী খাতগুলোতেও ইন্টারনেট ফিরে আসার ইতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।

ইন্টারনেট না থাকায় রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের বিদেশি গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ রক্ষায় সমস্যায় পড়েছিল। ব্রডব্যান্ড সংযোগ ফিরে আসায় এই প্রতিষ্ঠানগুলো অনেকটাই স্বস্তিতে আছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার পর থেকে দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে যায়। সেদিন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মহাখালীর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবনে দুর্বৃত্তদের অগ্নিসংযোগে ৩টি ডেটাসেন্টার পুড়ে যায়, যা দেশের ৬০ শতাংশ ব্যান্ডউইথের ওপর নির্ভরশীল ছিল। এই ক্ষতির ফলে সারা দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

তারও আগে বুধবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যা থেকেই মোবাইল ফোনের ইন্টারনেট সংযোগে সমস্যা দেখা দেয়। প্রথমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে প্রবেশ করা যাচ্ছিল না।

পরবর্তীতে রাত থেকে মোবাইল ফোন-ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। ইন্টারনেট না থাকায় বিপাকে পড়েছিলেন দেশের ১৪ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী।

বিশেষ করে ফ্রিল্যান্সারদের মতো পেশাজীবীরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। সফটওয়্যার খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন বেসিস জানায়, ইন্টারনেট সংযোগের অভাবে শুধু সফটওয়্যার খাত থেকেই দৈনিক লোকসান ৭০ থেকে ৮০ কোটি টাকা।

এছাড়া ফ্রিল্যান্স খাতে মোট ক্ষতির পরিমাণ ৫০০ কোটি ডলার। পাশাপাশি রয়েছে ক্লায়েন্ট হারানোর শঙ্কাও।

ইন্টারনেট সংযোগ ফিরে আসায় এই ক্ষতির পরিমাণ কিছুটা কমবে এবং পুনরায় স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।