Dhaka ১২:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

সেনাবাহিনীর গাড়িতে আগুন: ৩৩০৬ জন আসামির বিরুদ্ধে মামলা

  • Update Time : ০৩:২৬:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪
  • / 63

gopalganj-army-vehicle-fire-3306-accused-case

গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর গাড়িতে আগুন ও অস্ত্র লুটের মামলায় আসামি ৩৩০৬

গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলা, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং অস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনায় বড় ধরনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ১০৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, পাশাপাশি ৩ হাজার ২০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকালে ১০ বেঙ্গল রেজিমেন্টের লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাকসুদুল আলম বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনিচুর রহমান।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১০ আগস্ট বিকেলে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে গোপীনাথপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা দেশি অস্ত্র নিয়ে মহড়া ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। এতে মহাসড়কের দুই পাশে অসংখ্য গাড়ি আটকা পড়ে। খবর পেয়ে সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের মহাসড়ক ছেড়ে দিতে বলেন। এর পরই বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সেনাসদস্যদের বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু হয়, যা পরে হামলায় রূপ নেয়।

হামলায় সেনাবাহিনীর ৪ কর্মকর্তাসহ ৯ জন আহত হন। বিক্ষোভকারীরা সেনাবাহিনীর দুটি রাইফেল ও ছয়টি ম্যাগাজিন ছিনিয়ে নিয়ে একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং দুটি গাড়িতে ভাঙচুর করে। পরে সেনাবাহিনী দুটি অস্ত্র ও তিনটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করে।

মামলার এজাহারে বেআইনি জনতাবদ্ধ হয়ে মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দাঙ্গা করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান, সাধারণ সম্পাদক জি এম সাহাব উদ্দিন আজম, গোপীনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাহেব আলী টুকু, সাবেক চেয়ারম্যান লাচ্চু শরীফ, তার দুই ভাই কিচলু শরীফ ও পলাশ শরীফ, শুকতাইল ইউপির চেয়ারম্যান রানা মোল্লা, সাবেক চেয়ারম্যান আবেদ শেখ, এবং জালালাবাদ ইউপির সাবেক দুই চেয়ারম্যান সুপারুল আলম ও হেমায়েত হিমু।

সদর থানার ওসি মোহাম্মদ আনিচুর রহমান জানিয়েছেন, সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘটিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে। এখনও কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি।

ট্যাগ :

আপনার সোশ্যাল মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

সেনাবাহিনীর গাড়িতে আগুন: ৩৩০৬ জন আসামির বিরুদ্ধে মামলা

Update Time : ০৩:২৬:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪

গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর গাড়িতে আগুন ও অস্ত্র লুটের মামলায় আসামি ৩৩০৬

গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলা, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং অস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনায় বড় ধরনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ১০৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, পাশাপাশি ৩ হাজার ২০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকালে ১০ বেঙ্গল রেজিমেন্টের লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাকসুদুল আলম বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনিচুর রহমান।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১০ আগস্ট বিকেলে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে গোপীনাথপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা দেশি অস্ত্র নিয়ে মহড়া ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। এতে মহাসড়কের দুই পাশে অসংখ্য গাড়ি আটকা পড়ে। খবর পেয়ে সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের মহাসড়ক ছেড়ে দিতে বলেন। এর পরই বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সেনাসদস্যদের বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু হয়, যা পরে হামলায় রূপ নেয়।

হামলায় সেনাবাহিনীর ৪ কর্মকর্তাসহ ৯ জন আহত হন। বিক্ষোভকারীরা সেনাবাহিনীর দুটি রাইফেল ও ছয়টি ম্যাগাজিন ছিনিয়ে নিয়ে একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং দুটি গাড়িতে ভাঙচুর করে। পরে সেনাবাহিনী দুটি অস্ত্র ও তিনটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করে।

মামলার এজাহারে বেআইনি জনতাবদ্ধ হয়ে মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দাঙ্গা করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান, সাধারণ সম্পাদক জি এম সাহাব উদ্দিন আজম, গোপীনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাহেব আলী টুকু, সাবেক চেয়ারম্যান লাচ্চু শরীফ, তার দুই ভাই কিচলু শরীফ ও পলাশ শরীফ, শুকতাইল ইউপির চেয়ারম্যান রানা মোল্লা, সাবেক চেয়ারম্যান আবেদ শেখ, এবং জালালাবাদ ইউপির সাবেক দুই চেয়ারম্যান সুপারুল আলম ও হেমায়েত হিমু।

সদর থানার ওসি মোহাম্মদ আনিচুর রহমান জানিয়েছেন, সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘটিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে। এখনও কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি।