প্রতি সেকেন্ডে ৮০০ গিগাবাইট: ইন্টারনেট গতির নতুন মাইলফলক
- Update Time : ০৭:৪৭:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০২৪
- / 60
আপনি ইন্টারনেট ব্যবহার করে কত গতিতে একটি মেসেজ পাঠাতে পারেন? তিন থেকে আট এমবিপিএস? এর চেয়ে বেশি হলেও আপনার ইন্টারনেট একটু বেশি গতির হতে পারে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা এমন একটি ডাটা লিংক স্থাপন করেছেন, যেখানে প্রতি সেকেন্ডে ৮০০ গিগাবাইট ডাটা স্থানান্তর করা যায়। যা সাধারণ ব্রডব্যান্ড গতির চেয়ে ১১ হাজার গুণেরও বেশি!
ডাটা লিংকের অবিশ্বাস্য গতি
সুইজারল্যান্ডের ইউরোপীয় নিউক্লিয়ার রিসার্চ সংস্থার লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার এবং নেদারল্যান্ডসের ডাটা স্টোরেজ সাইটগুলোর সঙ্গে বিজ্ঞানীরা একটি নতুন ডাটা লিংক স্থাপন করেছেন। গত ফেব্রুয়ারিতে সার্নের দুই নেটওয়ার্ক প্রকৌশলী এই ডাটা লিংক পরীক্ষা করেন। তাঁদের শ্বাস ফেলার আগেই ডাটা সর্বোচ্চ গতিতে পৌঁছে যায়।
বিশ্বজুড়ে উচ্চগতির ডাটা স্থানান্তর
বিশ্বজুড়ে বিদ্যমান ফাইবার ক্যাবলের মধ্যে এটিই হয়তো সর্বোচ্চ গতির ডাটা স্থানান্তর করতে সক্ষম। সার্ন থেকে নেদারল্যান্ডসের ডাটা সেন্টারে শুধু এক হাজার ৬৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছে ৮০০ জিবিপিএস গতিতে। ল্যাবগুলোতে নেটওয়ার্কিং বিশেষজ্ঞরা দ্রুতগতিতে ডাটা আদান-প্রদান করতে সক্ষম এমন ফাইবার অপটিক সিস্টেম নিয়ে আসছেন। যা প্রতি সেকেন্ডে অনেক পেটাবিট-এর গতিতে পৌঁছাচ্ছে, যা সাধারণ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের চেয়ে ৩০০ মিলিয়ন গুণ বেশি।
ভবিষ্যতের ইন্টারনেট গতি
ভবিষ্যতে হয়তো মানুষ এই ধরনের গতির ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবে। প্রকৌশলীরা এরই মধ্যে তা নিয়ে কাজ করছেন। একসময় সার্নের ৮০০ জিবিপিএসের ইন্টারনেটও ধীরগতির মনে হবে। কারণ গত নভেম্বরে জাপানের একটি গবেষকদল ডাটা প্রেরণে বিশ্বের সর্বোচ্চ গতির রেকর্ড ভেঙেছে। তারা ২২.৯ পিবিপিএসে ডাটা আদান-প্রদান করেছে।
মেটাভার্স এবং ভবিষ্যতের প্রয়োজন
ওয়ার্ল্ড ব্রডব্যান্ড অ্যাসোসিয়েশনের মহাপরিচালক মার্টিন ক্রিনার মনে করেন, ২০৩০ সালের মধ্যে হোম ব্রডব্যান্ড সংযোগগুলো ৫০ জিবিপিএস পর্যন্ত পৌঁছবে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নেটওয়ার্কের গতির চেয়ে নির্ভরযোগ্যতা বেশি প্রয়োজন। ৩০০০ মাইল দূর থেকে রোবটিক অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে গতির চেয়ে নিরবচ্ছিন্ন সংযোগই বেশি দরকার।
ব্যান্ডউইথের ক্রমবর্ধমান চাহিদা
টেলিকম মার্কেট রিসার্চ ফার্ম টেলিজিওগ্রাফির গবেষণা বিশ্লেষক লেন বার্ডেট বলেছেন, ব্যান্ডউইথের চাহিদা অনেক দ্রুত বাড়ছে। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া, ক্লাউড পরিষেবা, ভিডিও স্ট্রিমিং আগের চেয়ে অনেক বেশি ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করছে। ২০১০ সালের প্রথম দিকে আন্তর্জাতিক ব্যান্ডউইথের যা ১৫ শতাংশ ছিল, এখন এটি ৭৫ শতাংশ। তবে পৃথিবীতে গতির চেয়ে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা বেশি প্রয়োজন।