শিরোনাম :
নাক ডাকার ঝুঁকি ও প্রতিরোধ: স্বাস্থ্যকর ঘুমের উপায়
- Update Time : ০৩:৫২:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুলাই ২০২৪
- / 69
নাক ডাকার স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি ও প্রতিরোধের উপায়
ঘুমের মধ্যে নাক ডাকা শুধু বিরক্তিকর নয়, এটি হৃদরোগ এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যারও কারণ হতে পারে। অনেকেই নাক ডাকা সমস্যাকে গভীর ঘুমের লক্ষণ মনে করেন, কিন্তু বাস্তবিকভাবে এটি প্রশান্তিময় ঘুমের ব্যাঘাত ঘটানোর পাশাপাশি নানা স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
নাক ডাকার কারণসমূহ:
- শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রতিবন্ধকতা: শ্বাসযন্ত্রের পথ বন্ধ হলে বাতাসের কাঁপুনির ফলে নাক ডাকানোর শব্দ হয়।
- নাকের পলিপ বা সাইনাসের সমস্যা: এই সমস্যা থাকলে নাক ডাকা শুরু হতে পারে।
- ওজন বৃদ্ধি: গলার চারপাশে চর্বি জমলে নাক ডাকার সমস্যা বাড়তে পারে।
- বয়স: বয়স বাড়ার সঙ্গে কণ্ঠনালি সরু হতে থাকে, যা নাক ডাকার কারণ হতে পারে।
- গলা পেশির শিথিলতা: লম্বা হয়ে শুলেও নাক ডাকতে পারে, কারণ গলার পেশি শিথিল হয়ে যায়।
- নেশাজাতীয় দ্রব্য: ধূমপান ও অ্যালকোহল নাক ডাকার সমস্যা বাড়ায়।
নাক ডাকার স্বাস্থ্যঝুঁকি:
- উচ্চ রক্তচাপ: নাক ডাকার ফলে সিস্টোলিক ব্লাড প্রেসার বেড়ে যায়, যা স্থায়ী উচ্চরক্তচাপে পরিণত হতে পারে।
- হার্টের সমস্যা: নাক ডাকার রোগীদের হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ফেইলুরের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় এবং হৃৎস্পন্দন অনিয়মিত হতে পারে।
- ডায়াবেটিস ও স্ট্রোক: নাক ডাকার রোগীদের ডায়াবেটিস এবং স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি।
নাক ডাকা কমানোর উপায়:
- কাত হয়ে ঘুমান: চিৎ হয়ে ঘুমালে গলার পেশি শিথিল হয়, তাই কাত হয়ে ঘুমানো ভালো।
- ওজন কমান: ওজন কমালে নাক ডাকার সমস্যা কমানো যেতে পারে।
- নেশাজাতীয় দ্রব্য পরিহার করুন: ধূমপান ও অ্যালকোহল ত্যাগ করুন।
- বালিশ ব্যবহার: মাথার নিচে কয়েকটি বালিশ রাখলে নাক ডাকা কমানো যেতে পারে।
- নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমান: নিয়মিত ঘুমের অভ্যাস গড়ে তুলুন।
- ব্যায়াম করুন: নিয়মিত ব্যায়াম করলে পেশির শক্তি ও রক্তচলাচল উন্নত হয়।
- প্রচুর পানি পান করুন: এটি নাকের আঠালো দ্রব্য দূর করতে সাহায্য করবে।
নাক ডাকা সমস্যা উপেক্ষা না করে এর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করুন এবং সুস্থ ঘুম নিশ্চিত করুন।
ট্যাগ :
Health