মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন ডাটা সেন্টার ক্ষতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে
- Update Time : ০৩:৫৩:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪
- / 21
ডাটা সেন্টারের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি: বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন
বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন দাবি করেছে, মহাখালীর খাজা টাওয়ারের ডাটা সেন্টার কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। সংগঠনটি বলছে, ইন্টারনেটের নিরাপত্তা ও গুজব নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায় তাদের ওপর চাপানো হয়েছে।
সংগঠনটি আজ ভবন পরিদর্শন করে এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছে যে, ডাটা সেন্টারের কোনো ধরনের ক্ষতি হয়নি। তাদের মতে, ডাটা সেন্টার শুধুমাত্র একটি সার্ভার সংরক্ষণাগার, যা একটি লকারের মতো।
শনিবার (২৭ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন দাবি করেছে, ইন্টারনেট সেবা বন্ধের বিষয়টি তদন্তের জন্য একটি কমিশন গঠন করা উচিত। তারা উল্লেখ করে, গত ১৬-১৭ জুলাই মোবাইল ইন্টারনেট সীমিত পরিসরে বন্ধ থাকলেও, ১৮ জুলাই সন্ধ্যার পর থেকে দেশে ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে যায়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রথমে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হওয়ার কারণ হিসেবে মহাখালীর খাজা টাওয়ারের ডাটা সেন্টারে সন্ত্রাসী হামলা উল্লেখ করা হয়। পরে টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী দাবি করেন, গুজব নিয়ন্ত্রণের জন্য ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করা হয়েছে। পরবর্তীতে বলা হয়, বিভিন্ন স্থানে ফাইবার কাটা এবং ডাটা সেন্টারে সন্ত্রাসী হামলার কারণে সেবা বন্ধ রয়েছে।
আইসিটি ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের গুজব নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা এবং সেবা বন্ধের দীর্ঘ সময়ের কারণে গ্রাহকরা নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকায় গ্রাহকরা ইউটিলিটি বিল পরিশোধ, মোবাইল রিচার্জ, ব্যাংকিং সেবা এবং অন্যান্য জরুরি সেবা নিতে পারছেন না।
বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন দাবি করছে, আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের সহায়তায় একটি তদন্ত কমিশন গঠন করা উচিত। কমিশনটি প্রযুক্তি ও টেলিযোগ যোগাযোগ খাতের বিশেষজ্ঞ, স্টেকহোল্ডার, গণমাধ্যম এবং গ্রাহকদের প্রতিনিধি সমন্বয়ে গঠিত হবে। ইন্টারনেট সেবা পুনরায় চালু করার জন্য জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং দেশের জনগণের জোরালো দাবি রয়েছে।
না, বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন দাবি করেছে যে মহাখালীর খাজা টাওয়ারের ডাটা সেন্টারে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তাদের মতে, এটি কেবল একটি সার্ভার সংরক্ষণাগার, এবং ইন্টারনেট সেবা বন্ধের প্রকৃত কারণ অন্য কিছু হতে পারে।
ইন্টারনেট সেবা বন্ধের কারণ হিসেবে বিভিন্ন অভিযোগ এসেছে, যার মধ্যে রয়েছে গুজব প্রতিরোধ ও ফাইবার কাটা। তবে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন বলছে, এসব কারণে ডাটা সেন্টারকে দায়ী করা অযৌক্তিক এবং তারা এর প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করতে একটি তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে।