রূপপুর প্রকল্পে ৫৯ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
- Update Time : ০২:০৮:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৪
- / 32
রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র: শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ৫৯ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
১৮ আগস্ট ২০২৪ – গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণ থেকে ৫০০ কোটি ডলার (৫৯ হাজার কোটি টাকা) আত্মসাৎ করেছেন। এই চাঞ্চল্যকর তথ্য শনিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের সদস্যরা রাশিয়ান রোসাটমের কাছ থেকে সোভিয়েত আমলের পারমাণবিক চুল্লি কিনতে ৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রটির মোট নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১২.৬৫ বিলিয়ন ডলার।
অর্থপাচারের বিবরণ
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, রাশিয়ান রোসাটম প্রকল্প বাস্তবায়নে সহায়তা করে মালয়েশিয়ার ব্যাংক থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার স্থানান্তরে শেখ হাসিনাকে সহায়তা করেছে। এতে মধ্যস্থতা করেছেন তার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয় এবং ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিক।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয় যে, রাশিয়ার সাথে চুক্তি করার সময় টিউলিপ সিদ্দিক বিশেষভাবে যুক্ত ছিলেন। তার মাধ্যমে এই চুক্তির জন্য ৩০ শতাংশ ‘ঘুষ’ হিসেবে পাওয়া অর্থ শেখ হাসিনার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
কোম্পানির ভূমিকা
গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের প্রতিবেদন অনুযায়ী, টিউলিপ সিদ্দিক ২০০৯ সালে ‘প্রচ্ছায়া লিমিটেড’ নামে একটি ভুয়া কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন, যা অর্থপাচারে ব্যবহৃত হত। যুক্তরাষ্ট্রে ‘জুমানা ইনভেস্টমেন্ট’ নামে একটি কোম্পানি চালান তারা, যার মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের অফশোর অ্যাকাউন্টে অর্থ পাচার করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতামত
বিশ্বব্যাপী দুর্নীতি এবং সরকারের স্বৈরাচারী আচরণের উপর তদন্তকারী সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে গণতন্ত্র দুর্নীতিতে জর্জরিত হয়ে পড়েছে। ২০১৮ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রতিবেদনও বাংলাদেশকে ‘স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠী’র তালিকায় স্থান দিয়েছে।
উত্তরের প্রেক্ষাপট
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র দেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্পগুলোর একটি এবং এর সফল বাস্তবায়ন দেশের ২০ শতাংশ বিদ্যুতের চাহিদা পূরণে সহায়ক হবে। যদিও এই প্রকল্পের মধ্যে দুর্নীতির অভিযোগ দেশবাসীর মধ্যে একটি বড় উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে নিশ্চিত তথ্য সহকারে অভিযোগগুলোর তদন্তের দাবি তুলেছে। এ পরিস্থিতি দেশের অর্থনীতি ও রাজনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।