সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে ফেরার পথে দুই ট্রলারে মিয়ানমার বাহিনীর গুলিবর্ষণ
- Update Time : ০৩:৫২:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০২৪
- / 20
কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে ফেরার পথে বাংলাদেশের জলসীমায় মিয়ানমার বাহিনীর গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (১৭ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে শাহপরীর দ্বীপ জেটিসংলগ্ন নাফ নদীতে সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে যাত্রী নিয়ে টেকনাফ ফেরার পথে দুইটি ট্রলার লক্ষ্য করে গুলি চালায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।
গুলির আক্রমণ: ভয়াবহ পরিস্থিতি
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিকেল ৫টার দিকে বঙ্গোপসাগরের বিকল্প রুট ব্যবহার করে সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে যাত্রী নিয়ে দুটি ট্রলার শাহপরীর দ্বীপের জেটি এলাকায় পৌঁছানোর সময় রাখাইন রাজ্যের পাতেনজা এলাকা থেকে ট্রলারের দিকে অন্তত ৩০ থেকে ৪০ রাউন্ড গুলি ছোঁড়া হয়।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “মিয়ানমার থেকে গুলিবর্ষণের সময় আমরা খুব ভয় পেয়েছিলাম। আমাদের ট্রলারটি পিছনে ছিল এবং গুলি সরাসরি আমাদের ট্রলারগুলোর দিকে আসছিল। ভাগ্যক্রমে কেউ আহত হয়নি।”
নিরাপদে পৌঁছানো: যাত্রীদের উদ্ধার
এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। গুলিবর্ষণের পর দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে ট্রলার দুটি শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাটে নিরাপদে নোঙর করা হয়। যাত্রীদের নিরাপদে নামিয়ে দেওয়া হয় এবং পরবর্তীতে তাদের সহায়তার জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও সেন্টমার্টিন দ্বীপ যাত্রী পরিবহন বোট মালিক সমিতি উদ্যোগ গ্রহণ করে।
ট্রলারের যাত্রী হাবিব উল্লাহ বলেন, “হঠাৎ করে গুলি চালানো শুরু হয়। আমরা খুবই আতঙ্কিত ছিলাম। কিন্তু অবশেষে নিরাপদে জেটিঘাটে পৌঁছাতে পারি।”
প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আদনান চৌধুরী এ বিষয়ে জানান, “বাংলাদেশের জলসীমায় সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে আসা যাত্রীবাহী ট্রলার দুটি লক্ষ্য করে মিয়ানমার বাহিনী গুলি চালিয়েছে। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে এবং পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কাজ চলছে।”
মিয়ানমারের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে উদ্বেগ
এ ঘটনার পর থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপ ও শাহপরীর দ্বীপের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। স্থানীয় জনগণ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মিয়ানমার বাহিনীর এ ধরনের অকারণ আক্রমণের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি করেছেন।
বোট মালিক সমিতির সভাপতি রশিদ আহমদ বলেন এ ধরনের ঘটনা পুনরাবৃত্তি হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা সরকারের কাছে মিয়ানমার বাহিনীর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি।