শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে আইসিসিতে মামলা: প্রবাসী বাংলাদেশীদের বৃহত্তর উদ্যোগ
- Update Time : ০৩:১৪:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই ২০২৪
- / 43
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা: প্রবাসী বাংলাদেশীদের উদ্যোগ
প্রবাসী বাংলাদেশীরা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) মানবতা বিরোধী অপরাধ, গণহত্যা ও মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগে মামলা করার উদ্যোগ নিয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মামলার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সাবেক দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক গবেষক ও বর্তমানে অ্যামনেস্টি ইউএস-এর বাংলাদেশ ও পাকিস্তান বিষয়ক বিশেষজ্ঞ সুলতান মোহাম্মদ জাকারিয়া এক এক্স পোস্টে জানিয়েছেন, “জরুরি আহ্বান: শেখ হাসিনাকে আইসিসিতে নিতে আমাদের সহায়তা করুন।
জুলাই মাসে শেখ হাসিনার সরকার ২০০ শিক্ষার্থীকে হত্যা করেছে। কয়েক হাজার আহত হয়েছে। বিচার বিভাগ দুর্নীতিগ্রস্ত।”
তিনি আরও একটি পোস্টে উল্লেখ করেছেন, প্রবাসী বাংলাদেশী স্কলার ও বিশেষজ্ঞদের উদ্যোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবাবিরোধী গণহত্যার প্রমাণাদি সংগ্রহ করা হচ্ছে।
এ উদ্যোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অভিযোগ দাখিলের জন্য তথ্য প্রমাণ সংগ্রহের কাজ দ্রুতই সম্পন্ন হবে এবং যাচাই-বাছাই করে অভিযোগ আকারে আইসিসিতে জমা দেওয়া হবে।
প্রমাণ সংগ্রহের জন্য একটি অনলাইন ফরম খোলা হয়েছে। এই ফরমটি পাওয়া যাচ্ছে sendhasina2icc.com/submit-evidence এই ওয়েবসাইটে। ফরমটি পূরণ করে শেখ হাসিনা ও তার সহকর্মীদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী গণহত্যার প্রমাণাদি জমা দেওয়া যাবে।
যারা তথ্য-প্রমাণ জমা দিবেন তাদের নাম ও পরিচয় গোপন রাখা হবে এবং সাইটটির জন্য শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে যাতে কেউ হ্যাক করে এখান থেকে তথ্য হাতিয়ে নিতে না পারে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তাদের কার্যক্রম শুধু আইসিসিতে মামলার করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। এর পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে শান্তিরক্ষী বাহিনীতে না নেওয়ার জন্য জাতিসংঘকে বলা হবে।
ইতিমধ্যে কার্যকরভাবে কাজ শুরু হয়েছে। জাতিসংঘ রাজি না হলে চাপ প্রয়োগ করা হবে। তারা শেখ হাসিনা ছাড়াও সামরিক ও বেসামরিক অনেক কর্মকর্তাকে মামলায় আসামীভুক্ত করবেন।
এছাড়াও বিভিন্ন দেশ যেমন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, জাপান, অস্ট্রেলিয়াসহ প্রভাবশালীগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশে গণহত্যার বিষয়ে যোগাযোগ করা হবে।
বাংলাদেশকে চাপে রাখার জন্য তাদের উপর চাপ প্রয়োগ করা হবে। শুধু প্রবাসী বাংলাদেশীরা নয়, আন্তর্জাতিক সুশীল সমাজকেও এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত করা হবে।