Dhaka ১১:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

সিলেটে চাঁদাবাজির অভিযোগে ৯ জন আটক

  • Update Time : ০৪:৩০:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 97

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি

সিলেটে চাঁদাবাজির অভিযোগ: আটকদের পরিচয় ও ঘটনা বিবরণ

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে নয়জনকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার রাত দেড়টার দিকে দয়ারবাজারের পূর্ব ধলাই কিন্ডারগার্টেন সংলগ্ন নৌকাঘাট থেকে স্থানীয় জনতার সহায়তায় তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতদের মধ্যে তিনজন নিজেদেরকে সমন্বয়ক হিসেবে দাবি করছে। অভিযোগ করা হয়েছে যে, তারা স্থানীয় বালু ও পাথর শ্রমিকদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করছিল। এই ঘটনায় কালীবাড়ি গ্রামের নুর আহমদ বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

আটককৃতদের পরিচয়

আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে:

  • আবু সাঈদ রবিন (২২) – বুরদেও গ্রামের বাসিন্দা
  • শাহজাহান আহমদ (১৯) – একই গ্রামের
  • আরিফ হাসান জুবায়ের (২৭) – পাড়ুয়া নোয়াগাঁওয়ের
  • রাজন মিয়া (২৫) – টুকেরবাজারের
  • দিদার হোসেন (২৫) – শাকেরা গ্রামের
  • সেলিম মিয়া (২৫) – কাঠালবাড়ির
  • রফিকুল ইসলাম (২৬) – শাহ আরেফিন গ্রামের
  • নাসির মিয়া (২৫) – বটেরতলের
  • সোলায়মান (২৭) – বাহাদুরপুরের

ঘটনার বিবরণ

মামলার বাদী নুর আহমদ জানান, বুধবার গভীর রাতে তারা আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে শ্রমিকদের কাছে চাঁদা দাবি করতে থাকে। স্থানীয় জনগণের নজরে আসার পর তারা ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে নয়জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি বদিউজ্জামান বলেন, আটককৃত নয়জনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে তিনজন নিজেদের সমন্বয়ক দাবি করছে এবং তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

প্রেক্ষাপট

বাংলাদেশে চাঁদাবাজি একটি জটিল সামাজিক সমস্যা। শ্রমিক শ্রেণীর মধ্যে বৈষম্য ও অর্থনৈতিক দুরবস্থার সুযোগ নিয়ে কিছু অসাধু ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থে চাঁদাবাজির মতো কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়। কোম্পানীগঞ্জের এই ঘটনা তারই একটি উদাহরণ। সরকারের উচিত এ ধরনের কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া, যাতে শ্রমিকরা নিরাপদে তাদের কাজ করতে পারে এবং কোনো ধরনের বৈষম্য বা চাপের শিকার না হয়।

উপসংহার

এই ঘটনায় স্থানীয় জনগণের সচেতনতা ও পুলিশি ব্যবস্থা একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করেছে। তবে, সমাজের প্রতিটি স্তরে সচেতনতা তৈরি করা জরুরি, যাতে চাঁদাবাজি এবং বৈষম্যজনিত সমস্যা কমিয়ে আনা যায়। সামনের দিনে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা একটি স্বচ্ছ ও নিরাপদ সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হব।

আপনার সোশ্যাল মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

সিলেটে চাঁদাবাজির অভিযোগে ৯ জন আটক

Update Time : ০৪:৩০:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সিলেটে চাঁদাবাজির অভিযোগ: আটকদের পরিচয় ও ঘটনা বিবরণ

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে নয়জনকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার রাত দেড়টার দিকে দয়ারবাজারের পূর্ব ধলাই কিন্ডারগার্টেন সংলগ্ন নৌকাঘাট থেকে স্থানীয় জনতার সহায়তায় তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতদের মধ্যে তিনজন নিজেদেরকে সমন্বয়ক হিসেবে দাবি করছে। অভিযোগ করা হয়েছে যে, তারা স্থানীয় বালু ও পাথর শ্রমিকদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করছিল। এই ঘটনায় কালীবাড়ি গ্রামের নুর আহমদ বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

আটককৃতদের পরিচয়

আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে:

  • আবু সাঈদ রবিন (২২) – বুরদেও গ্রামের বাসিন্দা
  • শাহজাহান আহমদ (১৯) – একই গ্রামের
  • আরিফ হাসান জুবায়ের (২৭) – পাড়ুয়া নোয়াগাঁওয়ের
  • রাজন মিয়া (২৫) – টুকেরবাজারের
  • দিদার হোসেন (২৫) – শাকেরা গ্রামের
  • সেলিম মিয়া (২৫) – কাঠালবাড়ির
  • রফিকুল ইসলাম (২৬) – শাহ আরেফিন গ্রামের
  • নাসির মিয়া (২৫) – বটেরতলের
  • সোলায়মান (২৭) – বাহাদুরপুরের

ঘটনার বিবরণ

মামলার বাদী নুর আহমদ জানান, বুধবার গভীর রাতে তারা আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে শ্রমিকদের কাছে চাঁদা দাবি করতে থাকে। স্থানীয় জনগণের নজরে আসার পর তারা ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে নয়জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি বদিউজ্জামান বলেন, আটককৃত নয়জনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে তিনজন নিজেদের সমন্বয়ক দাবি করছে এবং তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

প্রেক্ষাপট

বাংলাদেশে চাঁদাবাজি একটি জটিল সামাজিক সমস্যা। শ্রমিক শ্রেণীর মধ্যে বৈষম্য ও অর্থনৈতিক দুরবস্থার সুযোগ নিয়ে কিছু অসাধু ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থে চাঁদাবাজির মতো কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়। কোম্পানীগঞ্জের এই ঘটনা তারই একটি উদাহরণ। সরকারের উচিত এ ধরনের কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া, যাতে শ্রমিকরা নিরাপদে তাদের কাজ করতে পারে এবং কোনো ধরনের বৈষম্য বা চাপের শিকার না হয়।

উপসংহার

এই ঘটনায় স্থানীয় জনগণের সচেতনতা ও পুলিশি ব্যবস্থা একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করেছে। তবে, সমাজের প্রতিটি স্তরে সচেতনতা তৈরি করা জরুরি, যাতে চাঁদাবাজি এবং বৈষম্যজনিত সমস্যা কমিয়ে আনা যায়। সামনের দিনে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা একটি স্বচ্ছ ও নিরাপদ সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হব।