ইউরোপীয় ভিসা সেন্টার ঢাকায় স্থানান্তরের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
- Update Time : ০৮:৩০:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪
- / 13
ইউরোপীয় ভিসা সেন্টার ঢাকায় স্থানান্তরের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কূটনীতিকদের সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে ভিসা সেন্টার দিল্লি থেকে ঢাকায় স্থানান্তরের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি মনে করেন, এ পদক্ষেপ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদের জন্য উপকারী হবে এবং ইউরোপীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থী পাওয়ার সুযোগ বাড়াবে।
বৈঠকের মূল বিষয়বস্তু
সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ১৯ সদস্যের প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্বে ছিলেন ইইউর হেড অব ডেলিগেশন মাইকেল মিলার। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনসহ বিভিন্ন বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা। প্রায় আড়াই ঘণ্টার আলোচনায় শ্রম অধিকার, বাণিজ্য সুবিধা, মানবাধিকার, জলবায়ু পরিবর্তন, এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের মতো বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা বৈঠকে বলেন,
“ডিসেম্বর আমাদের বিজয়ের মাস। এই সময়ে আপনাদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে পেরে আমি আনন্দিত।”
তিনি গত ১৬ বছরের মানবাধিকার লঙ্ঘন ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে ইইউ প্রতিনিধিদের সামনে বিশদ আলোচনা করেন।
ভিসা সেন্টার স্থানান্তরের যৌক্তিকতা
প্রধান উপদেষ্টা বলেন,
“ভারতে ভিসার সীমিত সুযোগের কারণে অনেক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও পেশাজীবী ইউরোপীয় ভিসা পেতে সমস্যায় পড়ছেন। ভিসা সেন্টার যদি ঢাকায় বা অন্য কোনো প্রতিবেশি দেশে স্থানান্তরিত করা হয়, তাহলে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব।”
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানান, বুলগেরিয়া ইতোমধ্যেই তাদের ভিসা সেন্টার ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনামে স্থানান্তর করেছে। অন্য দেশগুলোকেও এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
ইইউ প্রতিনিধিদের প্রতিশ্রুতি
ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের সংস্কার প্রক্রিয়ায় পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন এবং নতুন বাংলাদেশ গঠনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন।
বিশেষ দিক
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে তথ্য বিভ্রান্তি বন্ধে ইইউর সহযোগিতা চেয়েছেন। তিনি বলেন,
“বাংলাদেশ সম্পর্কে অপতথ্য ছড়ানো বন্ধ করতে আমরা আপনাদের সহযোগিতা চাই।”
উপসংহার
ইউরোপীয় ভিসা সেন্টার ঢাকায় স্থানান্তরের উদ্যোগ নিলে এটি শুধু বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য নয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলোর জন্যও লাভজনক হবে। এটি বাংলাদেশ-ইউরোপ সম্পর্ক আরও মজবুত করবে এবং শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করবে।